Browse Bangla/Hindi song (Alphabetically arranged)

A - B - C - D - E - F - G - H - I - J - K - L - M - N - O - P -Q - R - S - T - U - V - W - X - Y - Z

Tuesday 21 September 2010

ইংল্যান্ড-পাকিস্তান ফাইনাল


ইংল্যান্ড-পাকিস্তান ফাইনাল



ক্রীড়া প্রতিবেদক
অনেক বিতর্কের বোঝা মাথায় নিয়েও টানা দুই জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরেছে পাকিস্তান। পাঁচ ওয়ানডে সিরিজে প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে টেস্ট ও টি২০-এর মতো সহজেই ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পথেই হাঁটছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। কিন্তু স্বাগতিকদের এ সহজ পথকে বন্ধুর করে দিয়েছে ঘুরে দাঁড়ানো পাকিস্তান। এমন অবস্থায় আজ সাউদাম্পটনে পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটি দু'দলের জন্যই এক অঘোষিত ফাইনাল। এ ম্যাচ যে জিতবে সিরিজ তাদেরই।
দিবারাত্রির এ অলিখিত ফাইনাল ম্যাচে এক বিরল কীর্তি গড়ার সুযোগ শহিদ আফ্রিদিদের সামনে। ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা তারপরও বলা যায় সিরিজে ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর টানা তিন জয়ে সিরিজ জেতার কৃতিত্ব ক্রিকেটে বিরল। এর সর্বশেষ কীর্তিটি বাংলাদেশের। ২০০৫ সালে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুটি ম্যাচে হেরে ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর টানা তিন জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিতে সমর্থ হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। আজ সেই বিরল কীর্তির সামনে দাঁড়িয়ে আফ্রিদির পাকিস্তান।
স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের সর্বশেষ দুটি জয় প্রায় একই ধরনের। দুটি ম্যাচেই টস জিতে আগে ব্যাট করেছে আফ্রিদির দল। ওভালে আগে ব্যাট করতে নেমে তাদের সংগ্রহ ছিল ২৪১। সোমবার লর্ডসে টসজয়ী পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ২৬৫ রান। দুটি ম্যাচেই ব্যাটসম্যানের এনে দেওয়া মাঝারিমানের পুঁজি সাফল্যের সঙ্গে রক্ষা করেছে মোহাম্মদ আমের-মোহাম্মদ আসিফবিহীন পাকিস্তানি বোলিং। বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছেন দুই ফাস্ট বোলার উমর গুল ও শোয়েব আখতার। আর ঘূর্ণি ভেল্কিবাজিতে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের দিকভ্রান্ত করে ছাড়ছেন সাঈদ আজমল ও শহিদ আফ্রিদি। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম গুল। গুল সব কিছুই গুলিয়ে দিচ্ছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের। গত দুটি ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ওভালে হারার পর দলের ব্যাটিং শক্তি বাড়ানোর জন্য ইয়ান বেলকে দলভুক্ত করেছিল ইংলিশ ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু তাতেও লর্ডসে বড় হার এড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৪১ বলের ইনিংসে ২৭ রান করেন বেল।
চরম উত্তেজনাপূর্ণ সিরিজে ফাইনালের মর্যাদায় উন্নীত হওয়া ম্যাচে দু'দলের জন্যই টস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সিরিজে চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই ম্যাচ জিতেছে আগে ব্যাটিং করা দল। পাকিস্তানের জন্য চ্যালেঞ্জটা আরও বেশি। কেননা তাদের দুটি জয়ই এসেছে আগে ব্যাট করে। এমনিতেই দিবারাত্রির ম্যাচে পরে ব্যাট করে জেতাটা সব সময়ই কঠিন। এ সিরিজে পাকিস্তানের প্রথম দুটি ম্যাচে হারের প্রধানতম কারণ ছিল তাদের ফিল্ডিং ব্যর্থতা। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৯৪ রান করেও এ ফিল্ডিংয়ের কারণেই হারতে হয় তাদের। ম্যাচে ১২৬ রানের একটি ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথ দেখান স্ট্রাউস। ব্যক্তিগত ২৩ রানের মাথায় তার সহজ ক্যাচ ফেলে দেন পাকিস্তানি ফিল্ডার মোহাম্মদ ইরফান।

No comments:

Post a Comment